সকল প্রকার কায়িক শ্রম আমাদের দেশে অমর্যাদাকর বলিয়া বিবেচিত হইয়া আসিয়াছে। শ্রম যে আত্মসম্মানের অণুমাত্রও হানিজনক নহে এবং মানুষের শক্তি, সম্মান ও উন্নতির ইহাই প্রকৃষ্ট ভিত্তি, এই বোধ আমাদের মধ্যে এখনও জাগে নাই। জগতের অন্যত্র মানব সমাজ শ্রম সামর্থ্যরে উপর নির্ভর করিয়া সৌভাগ্যের সোপানে উঠিতেছে। আর আমরা কায়িক শ্রমকে ঘৃণা করিয়া দিন দিন দুর্গতি ও হীনতায় ডুবিয়া যাইতেছি। যাহারা শ্রমবিমুখ বা পরিশ্রমে অসমর্থ, জীবন সংগ্রামে তাহাদের পরাজয় অনিবার্য। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার যুগে অযোগ্যের পরিত্রাণ নাই। যাহারা যোগ্যতম তারাই পায় বাঁচিবার অধিকার এবং অযোগ্যর উচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী। সুতরাং পরিশ্রমের অমর্যাদা আত্মহত্যারই শামিল।
সারাংশ: পৃথিবীর অন্যান্য জাতি যখন কায়িক শ্রমের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে উন্নতির শিখরে আহরণ করছে আমরা তখন তাকে ঘৃণা করে ক্রমশ পিছয়ে পড়ছি। শ্রম বিমুখ হয়ে আত্মহত্যা না করে প্রতিদ্বন্দ্বিতার এ যুগে শ্রমের মর্যাদা দিয়েই মানুষকে জীবন সংগ্রামে জয়ী হবার যোগ্য হয়ে উঠতে হবে।